মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
২ লক্ষ ৯৯ হাজার ৬০০ পিচ ইয়াবা টেবলেট পাচারের মামলায় কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার আবদুর রউফ-কে ৭ বছর সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। রায়ে একইসাথে ৩ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল সোমবার ১ আগস্ট এ রায় ঘোষণা করেন।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) এর ৯(খ) ধারায় আসামীকে দোষী সাব্যস্থ করে এ রায় প্রদান করা হয়। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত মেম্বার, অর্থাৎ জনপ্রতিনিধি বিবেচনায় আসামীকে অপরাধের নিম্মতম সাজা প্রদান করা হয়েছে বলে রায় প্রচারের সময় বিজ্ঞ বিচারক ঘোষনা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামী আবদুর রউফ মেম্বার আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ :
২০১৮ সালের ১৬ মার্চ রাত সাড়ে ১২ টার দিকে কোষ্টগার্ড কক্সবাজারের টেকনাফের কেরুনতলী স্টেশনের একটি টিম টেকনাফের সেন্টমার্টিনের চেরাদ্বীপে এক অভিযান চালিয়ে ২ লক্ষ ৯৯ হাজার ৬০০ পিচ ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করে। কোস্ট গার্ডের অভিযান টের পেয়ে ইয়াবাপাচারকারী সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার, সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের দক্ষিণ পাড়ার আবদুল হকের পুত্র মোঃ আবদুর রউফ প্রকাশ রউফ মেম্বার (৩৮) পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কোস্ট গার্ডের কেরুনতলী স্টেশনের পেটি অফিসার এম.এ মালেক বাদী হয়ে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) এর ৯(খ) ধারায় আবদুর রউফ মেম্বারকে একমাত্র আসামী করে টেকনাফ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার টেকনাফ থানা মামলা নম্বর : ৩১/২০১৮ ইংরেজি, জিআর মামলা নম্বর : ১২০/২০১৮ ইংরেজি এবং এসটি মামলা নম্বর ১২১৪/২০১৯ ইংরেজি।
বিচার ও রায় :
মামলাটি বিচারের জন্য কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে চার্জ গঠন করা হয়। মামলায় ১৩ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ, আসামী পক্ষে জেরা, আলামত প্রদর্শন, রাসায়নিক পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনা, যুক্তিতর্ক সহ বিচারের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল সোমবার ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) এর ৯(খ) ধারায় আসামীকে দোষী সাব্যস্থ করে উপরোক রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন-পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।
মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের “জিরো টলারেন্স” নীতি অনুসরণ করে কক্সবাজার বিচার বিভাগে বিচারাধীন থাকা মাদকের মামলা গুলো খুবই গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে রায় ঘোষণার পর পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম তাঁর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। ফলে মাদক ব্যবসায়ীরা আতংকিত হয়ে এখন নড়েচড়ে বসেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।